Shelter Home Maintenance Policy
of
MUKTI NARI-O-SHISHU UNNAYAN SANGASTHA (MNSUS)

মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা
মমতা মা ও শিশুসদন (আশ্রয়কেন্দ্র)

 

পরিচালনার নীতিমালা

মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা নির্যাতিত নারী এবং শিশুকে আইন সহায়তা দিয়ে আসছে। আইন সহায়তা দানের একটি অপরিহার্য শর্ত হলো প্রয়োজনে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করা। নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের জন্যই মুক্তি মমতা মা ও শিশু সদন, আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। মুক্তির কাছে আইনগত সহায়তাপ্রার্থী যারা ধর্ষণ, পাচার ও পারিবারিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার, তাদের অভিযোগ এবং মামলা চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন হলে নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন নির্যাতনের নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজনের বাস্তবতার কারণে ১৯৯৮ সালে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কাজ শুরু করে। অবশ্য মুক্তি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নির্বাহী পরিচালকের বাড়ীতে আশ্রয় প্রার্থীদের আশ্রয় প্রদান করে থাকতো।

মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থাতে আইন সহায়তার জন্য আগত নির্যাতনের শিকার সেইসব নারী ও শিশুদের সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হবে, যাদের নিরাপত্তার অভাব, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এবং মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়াও অন্য কোনো সংগঠন থেকে পাঠানো আশ্রয়প্রার্থী নির্যাতিত নারী ও শিশু এবং থানা থেকে রেফার করা হারিয়ে যাওয়া শিশুর সঠিক ঠিকানা থাকা সাপেক্ষে তাদের সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হবে।

বর্তমানে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার আশ্রয়কেন্দ্রটি ধারনক্ষমতা ২০ জন। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন থেকে প্রদানকৃত বাড়ীতে আশ্রয়কেন্দ্রটি পরিচালানা করা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রে মোট বড় ৪টি ও ছোট ১টি রুম আছে। যার মধ্যে ১টি রুম কেয়ারটেকার ১টি ছোট রুম সদনের ইনচার্জ ও বড় ৩টি রুমে আশ্রয় প্রার্থীরা থাকবে এবং অফিস রুমে আশ্রয় প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ডাইনিং স্পেসে আশ্রয়প্রার্থীরা খাওয়াদাওয়া করবে। ১টি টেলিভিশন থাকবে কেয়ারটেকারের রুমে এবং সেখান থেকে আশ্রয়প্রার্থীরা নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী টেলিভিশন দেখবে।

আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে একজন সহায়তাপ্রার্থী যে যে অধিকার ভোগ করবেন:

  • নির্দিষ্ট মেয়াদকালীন সময়ে নিরাপদ আবাসনের এবং কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার অধিকার।
  • আশ্রয়কেন্দ্র বাসী হিসাবে সমভাবে বিবেচিত হওয়ার অধিকার।
  • মানবাধিকার, আইনগত এবং নাগরিক অধিকারগুলো সম্পর্কে জানার এবং বলার অধিকার।
  • সহায়তা প্রার্থীদের বিষয়ে যেসকল আইনগত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে জানার অধিকার।
  • সহায়তা প্রার্থীর অবস্থান ও তথ্যের গোপনীয়তা বজায় থাকার অধিকার।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণের অধিকার।
  • আশ্রয়কেন্দ্র এবং সংস্থার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও তারা ওয়াকিবহাল থাকবে।

একজন সহায়তা প্রার্থীকে আশ্রয় প্রদানের পূর্বেই আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা নিম্নলিখিত বিষয়ে সহায়তা গ্রহণকারীকে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করবেন।

  • অন্যের নিরাপত্তাবোধের অধিকারকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
  • অন্যের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।
  • সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রের নিয়মনীতিসমূহ অনুসরণ করা।
  • সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে নিয়মনীতিসমূহ মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা বা কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সেটা খোলামেলাভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা। 

আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তাপ্রার্থীদের বিভিন্ন সেবা দেয়ার সাথে যুক্ত থাকবেন এমন কর্মীদের জন্য মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা যেসকল নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে:

  • আশ্রয়কেন্দ্রে কর্মীদেরকে আবাসিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে কাজকর্ম, নিয়ম-নীতি সম্পর্কে প্রথমেই কর্মীদের অবহিত করা এবং প্রয়োজনীয় মোটিভেশন দেয়া।
  • মানবাধিকার, নারীদের জন্য যে, আইনসমূহ রয়েছে সে সম্পর্কে, জেন্ডার সম্পর্ক বিশ্লেষণ এবং যোগযোগ দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
  • কর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত এবং দলীয় কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করা।
  • আশ্রয়

আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তা প্রার্থীদের প্রবেশ এবং চলে যাওয়ার বিষয়ে যে সকল নীতিমালা মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা অনুসরণ করবে:

  • প্রধানতঃ আইনসহায়তার সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মী, প্রশাসন ও প্রোগ্রাম বিভাগ থেকে রেফার করে আইন সহায়তা প্রার্থীকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেয়া হবে।
  • জরুরী অবস্থায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপেক্ষে অন্যান্য সংস্থা থেকে পাঠানো সাহায্যপ্রার্থীরাও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার সুযোগ পাবেন। তবে অন্য সংস্থার অনুরোধপত্রে কি কারণে তারা মুক্তির আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন তার উল্লেখ থাকতে হবে।
  • যদি অন্য কোনো সংস্থা কোনো বিচারপ্রার্থীর আইন সহায়তা প্রদান করে থাকে কিন্তু মুক্তির আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়ের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ঐ সংস্থার লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে মুক্তির আাশ্রয়কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐ বিচারপ্রার্থীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো সহায়তা প্রার্থীকে রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে যেকোনো থানার জিডি থাকতে হবে। মুক্তির অফিস যে থানায় অবস্থিত হবে সেই থানার জিডি থাকা আবশ্যক। তবে অন্য থানার জিডি থাকলে অবশ্যই মুক্তির আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তাপ্রার্থী সাময়িক আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছে কথাটি লেখা থাকতে হবে।
  • এমন কোনো আশ্রয়প্রার্থী যার কোর্টের রিলিজ অর্ডার আছে অথবা আদালত কোনো বিচারপ্রার্থীকে প্রয়োজনে অনধিক ৬ মাসের জন্য সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা যেতে পারে, তবে এক্ষেত্রে আশ্রয়প্রার্থীর প্রয়োজনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী সময়ে সময়কাল নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট ইউনিট এবং আশ্রয়কেন্দ্রে পরিচালনার দায়িত্বরত ব্যক্তিগণ। এক্ষেত্রে আশ্রয়প্রার্থীর জন্য পরবর্তী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
  • থানা থেকে হারিয়ে য়াওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সঠিক ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে।
  • বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে একসাথে ২০ জন সহায়ত প্রার্থীকে আশ্রয় প্রদান করা যাবে। তবে নির্বাহী পরিচালকের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সহায়তা প্রার্থীকেও রাখার ব্যবস্থা করা যাবে।
  • সহায়তা প্রার্থীর সাথে যদি তার ৬ বছরের উর্ধ্বে ছেলে সন্তান থাকে তাহলে সেই ছেলে সন্তানকে আবাসন সুবিধা দেয়া যাবে না।
  • যতদ্রুত সম্ভব আশ্রয়প্রার্থীকে তার বাবা-মা/আইনগত অভিভাবকের কাছে অথবা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী আশ্রয়ে স্থানান্তর করার নীতি গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বরত ব্যক্তিরা নেটওর্য়াকিং সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত সহায়তা প্রার্থীদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অথবা দীর্ঘমেয়াদী আশ্রয়ের ক্ষেত্রে অন্য সংস্থায় প্রেরণের বিষয়টি মুক্তির প্রশাসন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে অবহিত করতে হবে।
  • গৃহিত পদক্ষেপের অবস্থানরত সহায়তা প্রার্থীদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অথবা দীর্ঘমেয়াদী আশ্রয়ের ক্ষেত্রে অন্য সংস্থায় প্রেরণের বিষয়টি মুক্তির প্রশাসন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে অবহিত করতে হবে।
  • মানবাধিকার রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাহী পরিচালকের অনুমতি সাপেক্ষে উল্লেখিত বৈশিষ্টের বাইরের নারী ও শিশুদেরকেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে আশ্রিতার সাথে পরিবারের অভিভাবক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিনিধীদের সাক্ষাৎ করার জন্য পালনীয় নির্দেশানা।

  • সদনে আশ্রিতার সাথে তার কোন অভিভাবক দেখা করতে চাইলে নিজ পরিচয় প্রদান পূর্বক লিখিতভাবে বা মৌখিকভাবে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক বা প্রশাসনিক সমন্বয়কারীর অনুমতি গ্রহন সাপেক্ষে পরিচয় যাচাই পূর্বক নিশ্চিত হয়ে দেখা করার অনুমতি প্রদান করা যাইবে। তবে এক্ষেত্রে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে অফিস চলাকালীন সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে শেল্টারহোম ইনচার্জের মাধ্যমে সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা বলতে হবে।
    আশ্রিতার অভিভাবকবৃন্দ আশ্রিতাকে কোন প্রকার খাবার বা ব্যবহার্য্য কোন জিনিসপত্র প্রদান করলে তা যাচাই পূর্বক শেল্টারহোম ইনচার্জ গ্রহন করে আশ্রিতাকে প্রদান করতে পারবে।
  • সরকারি,বেসরকারি ও সংবাদপত্রের কোন প্রতিনিধী বা কর্মকর্তা সদন পরিদর্শন বা আশ্রিতার সাথে দেখা করতে হলে অবশ্যই মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের কাছ থেকে লিখিতভাবে প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ পূর্বক অনুমতি গ্রহন করতে হবে। নির্বাহী পরিচালক বিশেষক্ষেত্রে মৌখিক অনুমোদন প্রদান করতে পারবেন। তবে শেল্টারহোম ইনচার্জকে অবহিত করার ক্ষেত্রে নির্বাহী পরিচালকের পক্ষে প্রশাসনিক সমন্বয়কারী অবহিত করতে পারবেন।

 

বিশেষ প্রয়োজনে নীতিমালায় কোন বিষয় সংযোজন বিয়োজন করার প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ করতে পারবে।

নেটওয়াকিং সংস্থার সাথে কাজের কৌশল:

বর্তমানে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করতে গিয়ে যে সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে নেটওয়াকিং বজায় রাখছে সেগুলো হলো-

ক্র নং

সংগঠনের নাম

ধরণ

০১

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)

নারী ও শিশু

০২

শিশু পল্লী

সন্তানসহ নারী

০৩

ফ্যামিলীজ ফর চিলড্রেন

প্রতিবন্ধী ও হারিয়ে যাওয়া শিশু

০৪

ঢাকা আহসানিয়া মিশন

হারিয়ে যাওয়া শিশু

০৫

হোপ ফর দ্যা ডেস্টিটিউট ওমেন এন্ড চিলড্রেন

গর্ভবর্তী মা

০৬

সিটিআডিডবিস্নউ

গর্ভবতী মা

০৭

পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র

কিশোরী

০৮

এসিএসআর (নির্মল আশ্রয় কেন্দ্র)

১২ থেকে ২১ বয়সী শিশু ও নারী

  • প্রয়েজনে মুক্তির সহায়তা প্রার্থীদেরকে বৈশিষ্ট্যনুযায়ী বিভিন্ন নেটওয়াকিং সংস্থার আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো যাবে।
  • বিভিন্ন সংস্থা হতে ক্লায়েন্ট গ্রহণ করার সময় সকল কাগজপত্রের কপি সংশ্লিষ্ট ইউনিট ও আশ্রয়কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হবে।
  • আশ্রয় প্রার্থীদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে উভয় সংগঠন একমত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
  • অন্যান্য সংস্থার অনুরোধের প্রেক্ষিতে পাঠানো সহায়তা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মুক্তি তাদের দীর্ঘমেয়াদী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার জন্য শুধুমাত্র যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিবে এবং সকল দায়িত্ব অনুরোধ করা সংস্থাকে লিখিতভাবে বুঝিয়া দিবে। তবে প্রয়োজনে মুক্তি উক্ত সংগঠনকে অন্যান্য সংস্থার বিভিন্ন তথ্যাদি দিয়ে সহায়তা করবে।
  • মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা ক্লায়েন্টদেরকে বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রয়োজনে নেটওয়ার্কিং আশ্রয় কেন্দ্র হতে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা নেয়ার দায়িত্ব আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মীরা পালন করবে।

    আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থিত ক্লায়েন্টদের জন্য পালনীয় আচরণবিধি

১. সকাল ৬:০০ টার সময় সকলকে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
২. প্রত্যেকের গোসলের জন্য প্রয়োজনীয় পানি নিজ হাতে গরম (শীতকালে) করে নিতে হবে।
৩. ক্লায়েন্টদের জন্য বাথরুমটি সকল ক্লায়েন্টই একইভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
৪. প্রত্যেকের নিজস্ব কাপড় ধোয়া, প্লেট ধোয়া খাবার নেয়া ইত্যাদি কাজগুলো নিজ হাতেই করতে হবে।
৫. নির্ধারিত কাজের দিন সংশ্লিষ্ট ক্লায়েন্টকে নিজ হাতে কাজ করতে হবে তবে কেউ অসুস্থ থাকলে সেটা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থিত দায়িত্বরত কর্মী (আপনাদের)-কে জানাতে হবে।
৬. ক্লায়েন্টদের কোনো জিনিসের প্রয়োজন হলে, অফিসে আসতে হলে অন্য ক্লায়েন্টের দ্ব›দ্ব বা মতানৈক্য হলে অবশ্যই আশ্রয়কেন্দ্রের ইনচার্জকে জানাতে হবে।
৭. সন্তানসহ হোমে অবস্থিত ক্লায়েন্টদের সন্তানের মূল দায়িত্ব অবশ্যই তার মায়ের। অন্য ক্লায়েন্টরা সেই বাচ্চাকে দেখাশোনা করতে পারবে। তবে কোনো জটিলতা তৈরি হলে সন্তানের মা-কেই সেটা মোকাবেলা করতে হবে।
৮. আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে রাগের বশবর্তী হয়েও নিজের বাচ্চাকে মারধোর করা যাবে না।
৯. ক্লায়েন্টদের যদি নির্দিষ্ট কোনো খাবারের (মেনু অনুযায়ী) অসুবিধা থাকে তাহলে পূর্বেই সেটা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১০. প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে চলবে।
১১. বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করতে হবে।

মমতা মা ও শিশু সদনে আশ্রিতদের
সাপ্তাহিক খাবার তালিকা

দিন

সকাল

দুপুর

রাত

শুক্রবার

ভাত, আলুভর্তা, ডাল

ভাত, মাংস, ডাল

ভাত, মাছ, ডাল

শনিবার

রুটি, সবজী

ভাত, মাছ, ডাল

ভাত, সবজী, ডাল

রবিবার

খিচুরী, আলুভর্তা  ভাত, মাছ, সবজী  ভাত, মাছ, সবজী

সোমবার

খিচুরী, ডিমভাজা ভাত, মাছ, সবজী, ডাল ভাত, ডিম, সবজী

মঙ্গলবার

পরোটা, ভাজি ভাত, মাছ, সবজী, ডাল ভাত, মাছ, ডাল

বুধবার

ভাত, সবজী ভাত, মাছ, সবজী, ডাল ভাত, সবজী, মাছ

বৃহস্পতিবার

খিচুরী, আলুভর্তা ভাত, মাংস, ডাল ভাত, সবজী, ডাল

বি: দ্র: বিশেষ দিনে, জাতীয় দিবস, ঈদ, পূজা বিশেষ খাবারের আয়োজন করা।
কোন কোন সময় খাবারের মেনু পরিবর্তন হতে পারে।

Shelter Home Maintenance Policy
of
MUKTI NARI-O-SHISHU UNNAYAN SANGASTHA (MNSUS)

মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা
মমতা মা ও শিশুসদন (আশ্রয়কেন্দ্র)

 

পরিচালনার নীতিমালা

মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা নির্যাতিত নারী এবং শিশুকে আইন সহায়তা দিয়ে আসছে। আইন সহায়তা দানের একটি অপরিহার্য শর্ত হলো প্রয়োজনে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করা। নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের জন্যই মুক্তি মমতা মা ও শিশু সদন, আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। মুক্তির কাছে আইনগত সহায়তাপ্রার্থী যারা ধর্ষণ, পাচার ও পারিবারিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার, তাদের অভিযোগ এবং মামলা চলাকালীন সময়ে প্রয়োজন হলে নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন নির্যাতনের নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজনের বাস্তবতার কারণে ১৯৯৮ সালে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কাজ শুরু করে। অবশ্য মুক্তি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নির্বাহী পরিচালকের বাড়ীতে আশ্রয় প্রার্থীদের আশ্রয় প্রদান করে থাকতো।

মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থাতে আইন সহায়তার জন্য আগত নির্যাতনের শিকার সেইসব নারী ও শিশুদের সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হবে, যাদের নিরাপত্তার অভাব, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এবং মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়াও অন্য কোনো সংগঠন থেকে পাঠানো আশ্রয়প্রার্থী নির্যাতিত নারী ও শিশু এবং থানা থেকে রেফার করা হারিয়ে যাওয়া শিশুর সঠিক ঠিকানা থাকা সাপেক্ষে তাদের সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা হবে।

বর্তমানে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার আশ্রয়কেন্দ্রটি ধারনক্ষমতা ২০ জন। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন থেকে প্রদানকৃত বাড়ীতে আশ্রয়কেন্দ্রটি পরিচালানা করা হয়। আশ্রয়কেন্দ্রে মোট বড় ৪টি ও ছোট ১টি রুম আছে। যার মধ্যে ১টি রুম কেয়ারটেকার ১টি ছোট রুম সদনের ইনচার্জ ও বড় ৩টি রুমে আশ্রয় প্রার্থীরা থাকবে এবং অফিস রুমে আশ্রয় প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। ডাইনিং স্পেসে আশ্রয়প্রার্থীরা খাওয়াদাওয়া করবে। ১টি টেলিভিশন থাকবে কেয়ারটেকারের রুমে এবং সেখান থেকে আশ্রয়প্রার্থীরা নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী টেলিভিশন দেখবে।

আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে একজন সহায়তাপ্রার্থী যে যে অধিকার ভোগ করবেন:

  • নির্দিষ্ট মেয়াদকালীন সময়ে নিরাপদ আবাসনের এবং কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার অধিকার।
  • আশ্রয়কেন্দ্র বাসী হিসাবে সমভাবে বিবেচিত হওয়ার অধিকার।
  • মানবাধিকার, আইনগত এবং নাগরিক অধিকারগুলো সম্পর্কে জানার এবং বলার অধিকার।
  • সহায়তা প্রার্থীদের বিষয়ে যেসকল আইনগত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে জানার অধিকার।
  • সহায়তা প্রার্থীর অবস্থান ও তথ্যের গোপনীয়তা বজায় থাকার অধিকার।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণের অধিকার।
  • আশ্রয়কেন্দ্র এবং সংস্থার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও তারা ওয়াকিবহাল থাকবে।

একজন সহায়তা প্রার্থীকে আশ্রয় প্রদানের পূর্বেই আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা নিম্নলিখিত বিষয়ে সহায়তা গ্রহণকারীকে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করবেন।

  • অন্যের নিরাপত্তাবোধের অধিকারকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন।
  • অন্যের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।
  • সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রের নিয়মনীতিসমূহ অনুসরণ করা।
  • সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে নিয়মনীতিসমূহ মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা বা কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সেটা খোলামেলাভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা। 

আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তাপ্রার্থীদের বিভিন্ন সেবা দেয়ার সাথে যুক্ত থাকবেন এমন কর্মীদের জন্য মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা যেসকল নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে:

  • আশ্রয়কেন্দ্রে কর্মীদেরকে আবাসিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে কাজকর্ম, নিয়ম-নীতি সম্পর্কে প্রথমেই কর্মীদের অবহিত করা এবং প্রয়োজনীয় মোটিভেশন দেয়া।
  • মানবাধিকার, নারীদের জন্য যে, আইনসমূহ রয়েছে সে সম্পর্কে, জেন্ডার সম্পর্ক বিশ্লেষণ এবং যোগযোগ দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
  • কর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত এবং দলীয় কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করা।
  • আশ্রয়

আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তা প্রার্থীদের প্রবেশ এবং চলে যাওয়ার বিষয়ে যে সকল নীতিমালা মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা অনুসরণ করবে:

  • প্রধানতঃ আইনসহায়তার সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মী, প্রশাসন ও প্রোগ্রাম বিভাগ থেকে রেফার করে আইন সহায়তা প্রার্থীকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেয়া হবে।
  • জরুরী অবস্থায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপেক্ষে অন্যান্য সংস্থা থেকে পাঠানো সাহায্যপ্রার্থীরাও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার সুযোগ পাবেন। তবে অন্য সংস্থার অনুরোধপত্রে কি কারণে তারা মুক্তির আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন তার উল্লেখ থাকতে হবে।
  • যদি অন্য কোনো সংস্থা কোনো বিচারপ্রার্থীর আইন সহায়তা প্রদান করে থাকে কিন্তু মুক্তির আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়ের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ঐ সংস্থার লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে মুক্তির আাশ্রয়কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐ বিচারপ্রার্থীর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো সহায়তা প্রার্থীকে রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে যেকোনো থানার জিডি থাকতে হবে। মুক্তির অফিস যে থানায় অবস্থিত হবে সেই থানার জিডি থাকা আবশ্যক। তবে অন্য থানার জিডি থাকলে অবশ্যই মুক্তির আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তাপ্রার্থী সাময়িক আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছে কথাটি লেখা থাকতে হবে।
  • এমন কোনো আশ্রয়প্রার্থী যার কোর্টের রিলিজ অর্ডার আছে অথবা আদালত কোনো বিচারপ্রার্থীকে প্রয়োজনে অনধিক ৬ মাসের জন্য সাময়িক আশ্রয় প্রদান করা যেতে পারে, তবে এক্ষেত্রে আশ্রয়প্রার্থীর প্রয়োজনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরবর্তী সময়ে সময়কাল নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট ইউনিট এবং আশ্রয়কেন্দ্রে পরিচালনার দায়িত্বরত ব্যক্তিগণ। এক্ষেত্রে আশ্রয়প্রার্থীর জন্য পরবর্তী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
  • থানা থেকে হারিয়ে য়াওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সঠিক ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে।
  • বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে একসাথে ২০ জন সহায়ত প্রার্থীকে আশ্রয় প্রদান করা যাবে। তবে নির্বাহী পরিচালকের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে অতিরিক্ত সহায়তা প্রার্থীকেও রাখার ব্যবস্থা করা যাবে।
  • সহায়তা প্রার্থীর সাথে যদি তার ৬ বছরের উর্ধ্বে ছেলে সন্তান থাকে তাহলে সেই ছেলে সন্তানকে আবাসন সুবিধা দেয়া যাবে না।
  • যতদ্রুত সম্ভব আশ্রয়প্রার্থীকে তার বাবা-মা/আইনগত অভিভাবকের কাছে অথবা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী আশ্রয়ে স্থানান্তর করার নীতি গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বরত ব্যক্তিরা নেটওর্য়াকিং সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
  • আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত সহায়তা প্রার্থীদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অথবা দীর্ঘমেয়াদী আশ্রয়ের ক্ষেত্রে অন্য সংস্থায় প্রেরণের বিষয়টি মুক্তির প্রশাসন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে অবহিত করতে হবে।
  • গৃহিত পদক্ষেপের অবস্থানরত সহায়তা প্রার্থীদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অথবা দীর্ঘমেয়াদী আশ্রয়ের ক্ষেত্রে অন্য সংস্থায় প্রেরণের বিষয়টি মুক্তির প্রশাসন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে অবহিত করতে হবে।
  • মানবাধিকার রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাহী পরিচালকের অনুমতি সাপেক্ষে উল্লেখিত বৈশিষ্টের বাইরের নারী ও শিশুদেরকেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে আশ্রিতার সাথে পরিবারের অভিভাবক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিনিধীদের সাক্ষাৎ করার জন্য পালনীয় নির্দেশানা।

  • সদনে আশ্রিতার সাথে তার কোন অভিভাবক দেখা করতে চাইলে নিজ পরিচয় প্রদান পূর্বক লিখিতভাবে বা মৌখিকভাবে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক বা প্রশাসনিক সমন্বয়কারীর অনুমতি গ্রহন সাপেক্ষে পরিচয় যাচাই পূর্বক নিশ্চিত হয়ে দেখা করার অনুমতি প্রদান করা যাইবে। তবে এক্ষেত্রে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে অফিস চলাকালীন সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে শেল্টারহোম ইনচার্জের মাধ্যমে সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা বলতে হবে।
    আশ্রিতার অভিভাবকবৃন্দ আশ্রিতাকে কোন প্রকার খাবার বা ব্যবহার্য্য কোন জিনিসপত্র প্রদান করলে তা যাচাই পূর্বক শেল্টারহোম ইনচার্জ গ্রহন করে আশ্রিতাকে প্রদান করতে পারবে।
  • সরকারি,বেসরকারি ও সংবাদপত্রের কোন প্রতিনিধী বা কর্মকর্তা সদন পরিদর্শন বা আশ্রিতার সাথে দেখা করতে হলে অবশ্যই মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের কাছ থেকে লিখিতভাবে প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ পূর্বক অনুমতি গ্রহন করতে হবে। নির্বাহী পরিচালক বিশেষক্ষেত্রে মৌখিক অনুমোদন প্রদান করতে পারবেন। তবে শেল্টারহোম ইনচার্জকে অবহিত করার ক্ষেত্রে নির্বাহী পরিচালকের পক্ষে প্রশাসনিক সমন্বয়কারী অবহিত করতে পারবেন।

 

বিশেষ প্রয়োজনে নীতিমালায় কোন বিষয় সংযোজন বিয়োজন করার প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ করতে পারবে।

নেটওয়াকিং সংস্থার সাথে কাজের কৌশল:

বর্তমানে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করতে গিয়ে যে সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে নেটওয়াকিং বজায় রাখছে সেগুলো হলো-

ক্র নং

সংগঠনের নাম

ধরণ

০১

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)

নারী ও শিশু

০২

শিশু পল্লী

সন্তানসহ নারী

০৩

ফ্যামিলীজ ফর চিলড্রেন

প্রতিবন্ধী ও হারিয়ে যাওয়া শিশু

০৪

ঢাকা আহসানিয়া মিশন

হারিয়ে যাওয়া শিশু

০৫

হোপ ফর দ্যা ডেস্টিটিউট ওমেন এন্ড চিলড্রেন

গর্ভবর্তী মা

০৬

সিটিআডিডবিস্নউ

গর্ভবতী মা

০৭

পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র

কিশোরী

০৮

এসিএসআর (নির্মল আশ্রয় কেন্দ্র)

১২ থেকে ২১ বয়সী শিশু ও নারী

  • প্রয়েজনে মুক্তির সহায়তা প্রার্থীদেরকে বৈশিষ্ট্যনুযায়ী বিভিন্ন নেটওয়াকিং সংস্থার আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো যাবে।
  • বিভিন্ন সংস্থা হতে ক্লায়েন্ট গ্রহণ করার সময় সকল কাগজপত্রের কপি সংশ্লিষ্ট ইউনিট ও আশ্রয়কেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হবে।
  • আশ্রয় প্রার্থীদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে উভয় সংগঠন একমত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
  • অন্যান্য সংস্থার অনুরোধের প্রেক্ষিতে পাঠানো সহায়তা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মুক্তি তাদের দীর্ঘমেয়াদী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার জন্য শুধুমাত্র যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিবে এবং সকল দায়িত্ব অনুরোধ করা সংস্থাকে লিখিতভাবে বুঝিয়া দিবে। তবে প্রয়োজনে মুক্তি উক্ত সংগঠনকে অন্যান্য সংস্থার বিভিন্ন তথ্যাদি দিয়ে সহায়তা করবে।
  • মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা ক্লায়েন্টদেরকে বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রয়োজনে নেটওয়ার্কিং আশ্রয় কেন্দ্র হতে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা নেয়ার দায়িত্ব আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মীরা পালন করবে।

    আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থিত ক্লায়েন্টদের জন্য পালনীয় আচরণবিধি

১. সকাল ৬:০০ টার সময় সকলকে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
২. প্রত্যেকের গোসলের জন্য প্রয়োজনীয় পানি নিজ হাতে গরম (শীতকালে) করে নিতে হবে।
৩. ক্লায়েন্টদের জন্য বাথরুমটি সকল ক্লায়েন্টই একইভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
৪. প্রত্যেকের নিজস্ব কাপড় ধোয়া, প্লেট ধোয়া খাবার নেয়া ইত্যাদি কাজগুলো নিজ হাতেই করতে হবে।
৫. নির্ধারিত কাজের দিন সংশ্লিষ্ট ক্লায়েন্টকে নিজ হাতে কাজ করতে হবে তবে কেউ অসুস্থ থাকলে সেটা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থিত দায়িত্বরত কর্মী (আপনাদের)-কে জানাতে হবে।
৬. ক্লায়েন্টদের কোনো জিনিসের প্রয়োজন হলে, অফিসে আসতে হলে অন্য ক্লায়েন্টের দ্ব›দ্ব বা মতানৈক্য হলে অবশ্যই আশ্রয়কেন্দ্রের ইনচার্জকে জানাতে হবে।
৭. সন্তানসহ হোমে অবস্থিত ক্লায়েন্টদের সন্তানের মূল দায়িত্ব অবশ্যই তার মায়ের। অন্য ক্লায়েন্টরা সেই বাচ্চাকে দেখাশোনা করতে পারবে। তবে কোনো জটিলতা তৈরি হলে সন্তানের মা-কেই সেটা মোকাবেলা করতে হবে।
৮. আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকালীন সময়ে রাগের বশবর্তী হয়েও নিজের বাচ্চাকে মারধোর করা যাবে না।
৯. ক্লায়েন্টদের যদি নির্দিষ্ট কোনো খাবারের (মেনু অনুযায়ী) অসুবিধা থাকে তাহলে পূর্বেই সেটা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১০. প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে চলবে।
১১. বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করতে হবে।

মমতা মা ও শিশু সদনে আশ্রিতদের
সাপ্তাহিক খাবার তালিকা

দিন

সকাল

দুপুর

রাত

শুক্রবার

ভাত, আলুভর্তা, ডাল

ভাত, মাংস, ডাল

ভাত, মাছ, ডাল

শনিবার

রুটি, সবজী

ভাত, মাছ, ডাল

ভাত, সবজী, ডাল

রবিবার

খিচুরী, আলুভর্তা  ভাত, মাছ, সবজী  ভাত, মাছ, সবজী

সোমবার

খিচুরী, ডিমভাজা ভাত, মাছ, সবজী, ডাল ভাত, ডিম, সবজী

মঙ্গলবার

পরোটা, ভাজি ভাত, মাছ, সবজী, ডাল ভাত, মাছ, ডাল

বুধবার

ভাত, সবজী ভাত, মাছ, সবজী, ডাল ভাত, সবজী, মাছ

বৃহস্পতিবার

খিচুরী, আলুভর্তা ভাত, মাংস, ডাল ভাত, সবজী, ডাল

বি: দ্র: বিশেষ দিনে, জাতীয় দিবস, ঈদ, পূজা বিশেষ খাবারের আয়োজন করা।
কোন কোন সময় খাবারের মেনু পরিবর্তন হতে পারে।